২০শে মে, ২০২৫ ইং, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

মান্দার পঞ্চমীতলা থেকে ৪ টি গরু চুরির ঘটনায় ধ্রুম্রজাল! মাদারল্যান্ড নিউজ

মাহবুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ প্রতিনিধি: চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী! এমন একটি কাহিনী ঘটেছে নওগাঁর মান্দায় গত ২৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে ৪টি গরু চুরির মাধ্যমে।

অাসলে এটি চুরি না কি অাত্মসাৎ সেটি বোঝা বড় দায়! তবে স্থানীয়দের ধারনা শেয়ার পার্টনারকে ফাঁসাতে অারেক শেয়ার পার্টনার এমন চুরির নাটক সাজাতে পারে।

এতোবড় ঘটনায় একটি পক্ষ শুধু ২ টি গরু চুরির জিডি করেছে।অথচ, অন্যপক্ষ কিন্তু তার ২ টি গরু চুরির ব্যাপারে কোন জিডি বা অভিযোগ করেন নাই।

কেনো করেন নাই এনিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কথা হচ্ছে যে ওইরাতে উভয় ভূক্তভোগী গরু ব্যাবসায়ীরা একই স্থানে একই বিছানায় শুয়ে ছিলেন।

ওই পক্ষের গরু ব্যাবসায়ী মান্নানের যে ২ টি গরু চুরি হয়ে গেছে সে ২ টির দামও প্রায় লক্ষাধিক টাকা হবে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।

কেনোনা, সেগুলোও ইন্ডিয়ান (ভোলটার)বড় গরু।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার মৈনম ইউপির দূর্গাপুর গ্রামের সাদেকুল ইসলাম একজন গরু ব্যাবসায়ী। তিনি এবং তার পার্টনার সিলেটের বিভিন্ন হাট থেকে ক্রয়কৃত গরু গত ২২ নভেম্বর রবিবার সতিহাটের পূর্বপাশ্বের পঞ্চমীতলার বিটে ১৮টি গরু এবং ৯ টি মহিষ রাখেন।

তারমধ্যে ২টি ইন্ডিয়ান শ্যামলা বড় গরু। বর্তমানে যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। অপর দুটি গরুর দামও প্রায় লক্ষাধিক টাকা।

গরু চুরির ঘটনায় সাধারণ ডায়েরীকারী ভূক্তোভোগী গরু ব্যাসায়ী সাদেকুল ইসলামের ছেলে রনি জানায়, “নিন (ঘুম) আর মরণ, মানুষের নিঃশ্বাসের বিশ্বাস আছে?” বিভিন্ন হাট থেকে ক্রয়কৃত গরু সতিহাটের পূর্বপাশ্বের পঞ্চমীতলার বিটে বেধে রেখে গরু পাহারার নিমিত্তে আমার বাবা এবং আমার বাবার শেয়ার পার্টনার গরু ব্যাবসায়ী গনেশপুর ইউপির শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আব্বাস মৃধার ছেলে আব্দুল মান্নান রাতের খাবার খেয়ে পঞ্চমীতলা বাচুর হাটির বিটে ফাঁকা জায়গায় খোলা আকাশের নিচে অর্থাৎ টিনের ছাপরার নিচে চৌকিতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

সেদিন রাতে ওই বিটে রাখা বিভিন্ন গরু ব্যাবসায়ীর গরু পাহারায় অনেকে ছিলেন।

এমতাবস্থায় গত ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কে বা কাহারা গরু ২টি চুরি করে নিয়ে যায়। ওইদিন রাত অনুমান পনে ৩ টার দিকে আমার বাবা এবং আমার বাবার শেয়ার পার্টনার আব্দুল মান্নান ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখে যে, গরু দুটি বিটে আর বাধা নেই ।

তাৎক্ষণিক চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। ততক্ষণে চোর গরু দুটি নিয়ে চলে যায় বলে জানায় রনি। আর চুরির ঘটনায় মূহুর্তের মধ্যেই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

এনিয়ে গত কয়েকদিন যাবৎ সর্বত্র এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির দেখা দিয়েছে।

গত ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন কুল কিনারা করতে পারে নি মান্দা থানা পুলিশ।

এব্যাপারে অারেকজন ভূক্তভোগী গরু ব্যাবসায়ী শেয়ার পার্টনার গরু ব্যাবসায়ী গনেশপুর ইউপির শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আব্বাস মৃধার ছেলে আব্দুল মান্নান ও এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি অথবা অভিযোগ করবেন বলে জানান।,

তার অভিযোগ যে, এতোদিন গরু চুরি হলো না অার ওই দিন রাতে গরুর পাশে চৌকিতে শুয়ে থাকাবস্থায় গরু ক্যামনে চুরি হয়ে গেলো, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।

গরু দুটি অাত্মসাৎ করার জন্য চুরির নাটক সাজানো হয়েছে। অামি এর সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত চোরের বিচার চাই।

মান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) তারেকুর রহমান সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। বিষয়টি খুব গুরুত্বের সহিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অাসলে এটি চুরি না কি অাত্মসাৎ তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। চুরি হওয়া গরু দুটি উদ্ধার এবং প্রকৃত চোরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের চেষ্টা চলছে।#

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ